নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের আলোচিত সমালোচিত মানবপাচারের শীর্ষ ও চিহ্নিত দালাল উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি ধোপার ডেইল গ্রামের ফজল আহমদের ছেলে প্রায় অর্ধ ডজন মানবপাচার মামলার পলাতক আসামী আক্তার মিয়া (৩৫) এক মানবপাচার মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছে। উক্ত চিহ্নিত মানবপাচারকারী গত তিন বছর ধরে আত্মগোপনে থেকে জেলার ‘মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্ট’ নামে পরিচিত সোনাইছড়ি বাদামতলীর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা আক্তার মিয়া দিন মজুর থেকে মানবপাচার করে মাত্র কয়েক বছরে আঙ্গুল ফোলে কলাগাছ হয়ে যাওয়ার মত কোটি কোটি টাকা কামাই করেছে। তার নিজের এবং স্ত্রী বুলবুল আক্তারের নামে-বেনামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কোটি কোটি টাকার ব্যাংক একাউন্ট, একাধিক গাড়ী, বাড়ী ও সমূদ্রে ইঞ্জিন চালিত নৌকা আছে। আলোচিত মানবপাচাকারী আক্তার মিয়া গত কয়েক বছর আগেও দিন মজুরী কাজ করত। গত ২০১১ ইং থেকে মানবপাচারে জড়িত হয়ে মাত্র কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকা কামাই করে দেশে বিদেশে মানবপাচারের শীর্ষ দালাল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। গত মে মাসে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধড়-পাকড়ে বেশ কয়েকবার মানবপাচারকারী আক্তার মিয়া পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল ৭ অক্টোবর শীর্ষ মানবপাচারকারী আক্তার মিয়া তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকা মানবপাচার আইনের উখিয়া থানার মামলা নং- ০৩, তাং- ০৩/০৩/২০১৪ইং, জি.আর নং- ৪০/২০১৪ইং, মানবপাচার নং- ১৯/২০১৫ইং মামলায় বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিনের আবেদন করলে, বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা বিচারক (জেলা জজ) মোঃ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। দেশে বিদেশে আলোচিত-সমালোচিত এই মানবপাচারকারী অনায়াসে জামিনে মুক্তি লাভ করায় সচেতন সমাজ হতবাক হয়ে গেছে। চিহ্নিত ও শীর্ষ মানবপাচারকারী আক্তার মিয়ার জামিন প্রসঙ্গে বিজ্ঞ পিপি এড. মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, একই মামলার সহযোগী আসামীরা জামিনে থাকায় চিহ্নিত মানবপাচারকারী আক্তার মিয়া জামিন পায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, চিহ্নিত মানবপাচারকারী আক্তার মিয়া হাজার হাজার মানুষকে ‘মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্ট’ নামে পরিচিত বাদামতলী দিয়ে সমূদ্র পথে মালয়েশিয়া মানবপাচার করে। এর অধিকাংশ মালয়েশিয়া যাত্রী এ পর্যন্ত নিখোঁজ এবং অনেকেরই সমূদ্রেই সলিল সামাধি ঘটে। আলোচিত শীর্ষ মানবপাচারকারী আক্তার মিয়া গত বছর স্থানীয় সোনাইছড়ি গ্রামের জমির আহমদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্র আফাজ উদ্দিন (১৬) কে মিথ্যা প্রলোভনে মালয়েশিয়া পাচারকালে বঙ্গোপসাগরের মাঝ পথে মৃত্যু বরণ করে। একই ভাবে কক্সবাজার জেলা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অগনিত মালয়েশিয়াগামী মানুষ আলোচিত মানবপাচারকারী আক্তার মিয়ার খপ্পরে পড়ে বিদেশে কারাবন্দি, নিখোঁজ ও সলিল সমাধি ঘটে। চিহ্নিত ও শীর্ষ মানবপাচারকারী আক্তার মিয়া একটি মানবপাচার মামলায় জামিন হলেও তার বিরুদ্ধে আরও প্রায় অর্ধ ডজন মানবপাচার মামলা ওয়ারেন্ট আছে। উক্ত মানবপাচারকারী জামিনে মুক্তি পাওয়ায় ভুক্তভোগী অনেকেই শংকা ও ক্ষুভ প্রকাশ করেছেন।
প্রকাশিত: ০৮/১০/২০১৫ ৭:২৮ অপরাহ্ণ
টেকনাফ প্রতিনিধি: টেকনাফের কচুবনিয়া এমপি বদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান ...
পাঠকের মতামত